তারেক রহমান হচ্ছে খোয়াব ভবনের প্রতীক : তথ্যমন্ত্রী 

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, করোনা মহামারি বা কোনো দুর্যোগ-দুর্বিপাকেই জনগণের পাশে বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এখন আবার আস্তে আস্তে দেখা যাচ্ছে। বিএনপি হচ্ছে আমাদের দেশের অতিথি পাখি। শীতকালে যেমন ধান খাওয়ার জন্য সাইবেরিয়া, হিমালয় থেকে অতিথি পাখিরা আসে, ধান খেয়ে মোটাতাজা হয়ে আবার উড়ে চলে যায়। তেমনি বিএনপিও ভোটের সময় আসে, মোটাতাজা হয়ে আবার চলে যায়। অন্য সময়ে আর তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না। বিএনপি জোটে এমন শরিক আছে, যারা নারী নেতৃত্ব হারাম বলে শ্লোগান দেয়। আর তারেক রহমান হচ্ছে দুর্নীতি, লুটপাট, হাওয়া ভবন, খোয়াব ভবনের প্রতীক। সেই বিএনপি-জামাত যদি আবার সুযোগ পায়, এই দেশকে আবার পাকিস্তান বানিয়ে ছাড়বে, আফগানিস্তানের কাছাকাছি নিয়ে যাবে। দেশকে আমরা সেখানে নিয়ে যেতে দিতে পারি না। তাদের হাতে দেশ তুলে দিতে পারি না।

আজ (২৮ নভেম্বর) সোমবার দুপুরে দিনাজপুর শহরের ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ ময়দানে দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন। সম্মেলন শেষে দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে এড. মোস্তাফিজুর রহমান এমপি পুণরায় ও সাধারণ সম্পাদক পদে আলতাফুজ্জামান মিতা নতুন দায়িত্ব পান। আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন এমপি সম্মেলন উদ্বোধন করেন। দিনাজপুর জেলা সভাপতি এড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান এমপি’র সভাপতিত্বে দলের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথি ও সভাপতি মন্ডলীর সদস্য শাজাহান খান এমপি বরেণ্য অতিথি হিসেবে সম্মেলনে যোগ দেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইমাম চৌধুরীর সঞ্চালনায় সম্মেলনে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল হাসান মাহমুদ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি, মো. শিবলী সাদিক এমপি, এড. জাকিয়া তাবাসসুম জুঁই এমপি, দলের কেন্দ্রীয় সদস্য এড. হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া ও এড. সফুরা বেগম রুমি বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন।

নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজের আহবান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি শীতকালে মাঠ গরম করার জন্য নেমেছে। তারা বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশের নামে আসলে পিকনিক করছে। সিলেটে দেখলাম যে, তিনদিন আগে তারা চলে এসেছেন, হোটেলের মধ্যে তাস খেলেছেন আর মাঠের মধ্যে সামিয়ানা টাঙ্গিয়ে গরু জবাই করে রান্না-বান্না করে খেয়েছেন। কুমিল্লাতেও তাই। জনসভার আগের দিন রাতে সামিয়ানা টানিয়ে গরু জবাই করে ভুরিভোজ করার কোনো ইতিহাস এই বাংলাদেশে আমার দাদারাও দেখেননি। বিএনপি সেটি দেখাচ্ছে। এগুলো কোনো সমাবেশ নয়, এগুলো পিকনিক। আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খেলা হবে। আমরা কিন্তু সবার সাথে খেলবো না। রুমিন ফারহানাও বলছেন-খেলা হবে। আমরা ওদের সাথে খেলবো না, আমাদের ছাত্রলীগ খেলবে আর যুবলীগ যদি মনে করে খেললে খেলতে পারে। বর্ষাকালে যখন প্রথম বৃষ্টি হয়, পুকুরের বড় মাছ কিন্তু লাফায় না, পুঁটি মাছ খুব লাফায়। রাজনীতির মাঠে বিএনপি এখন পুঁটি মাছ। সমাবেশে কিছু মানুষ দেখেই পুঁটি মাছের লাফানি লাফিয়ে কোনো লাভ নেই।